তালেবানের বেঁধে দেওয়া ‘চরম সময়সীমা’ মেনেই ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান ছেড়েছেন মার্কিন সেনারা। কিন্তু পুরো বাহিনী এখনও দেশে ফেরেনি। সোমবার রাতে দফায় দফায় পাকিস্তানে ঢুকেছে তাদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনাঘাঁটি তৈরির আশঙ্কায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও মঙ্গলবার ইমরান খান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জানিয়েছেন, এই বন্দোবস্ত নিতান্তই সাময়িক। রশিদ আহমেদ সোমবার বলেন, পাকিস্তানের মাটিতে দীর্ঘমেয়াদে বিদেশি সেনা থাকবে না। যে বিদেশিরা এসেছেন, তাদের ২১ থেকে ৩০ দিনের ট্রানজিট ভিসা দেওয়া হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যেই তাদের ফিরে যেতে হবে। পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, দুই হাজার ১৯২ মার্কিন সেনা তোরখাম সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন এবং এক হাজার ৬২৭ জন বিমানে ইসালামাবাদে নেমেছেন। পাকিস্তানের কট্টরপন্থি বিরোধী দল জমিয়ত উলেমা-ই ইসলামের অভিযোগ— মার্কিন সেনাদের জন্য ইসলামাবাদে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছে ইমরান সরকার। সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের জমানায় পাকিস্তানের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল ন্যাটো বাহিনী।
এবারও তার পুনরাবৃত্তি হবে বলে অভিযোগ তোলে জমিয়ত। কিন্তু আহমেদ রশিদ সেই সম্ভাবনা নাকচ করে বলেন, পাকিস্তানে আর মোশাররফ যুগের বন্দোবস্ত ফিরে আসবে না। শুধু মার্কিন সেনা নয়, বেলুচিস্তানের চমন সীমান্ত দিয়ে বৈধভাবে কিছু আফগান নাগরিকও পাকিস্তানে এসেছেন বলে জানিয়েছেন রশিদ।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যেমন সীমান্তে যাতায়াত থাকে, এখনও তেমনই রয়েছে। আমাদের আশঙ্কা ছিল, আফগান সীমান্তে শরণার্থীদের ঢল নামতে পারে। কিন্তু এখনও তেমন কিছু হয়নি। যদিও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইতোমধ্যে পাক সীমান্তে অপেক্ষায় থাকা আফগান শরণার্থীদের জমায়েতের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।